নিজস্ব প্রতিনিধি:পাবনায় ভাঙ্গুড়া উপজেলার জগাতলা চার রাস্তার মোড় এলাকায় অবস্থিত আকিজ দুগ্ধ সংগ্রহ ও শীতলীকরণ কেন্দ্রে চিথুলিয়া দুগ্ধ সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপক হাসানুর রহমান কমল নামে এক ভেজাল দুগ্ধ কারবারীকে জরিমানা না করে কৌশলে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্যনেটারি ইন্সপেক্টর নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জগাতলা চার রাস্তা মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় খামারীরা আকিজ দুগ্ধ সংগ্রহ ও শীতলীকরণ কেন্দ্রে কমল ম্যানেজারের দুধে ভেজাল আছে মর্মে অভিযোগ জানান। ফলে আকিজে কর্মরত লিটন ও কুদ্দুস দুধের স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা করেন। পরে ভেজালের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভেজাল দুধ সনাক্তের বিষয়ে জানালে তিনি স্যনেটারি ইন্সপেক্টর নুরুল ইসলামকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। নুরুল ইসলাম শীতলীকরণ কেন্দ্রে এসে তার সহকারীর মাধ্যমে দুধ পুনরায় পরিক্ষা করে আবারও ভেজালের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কিন্তু তার উদাসিনতায় ছাড় পায় আকিজ কর্তৃপক্ষ ও ভেজাল দুগ্ধ প্রদানকারী হাসানুর রহমান কমল। তার ভেজাল আশি লিটার দুধ নষ্ট করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, কমল পাশ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলা থেকে শুধু ভেজাল দুধের কারবার পরিচালনা করার জন্য এখানে আসে। আকিজ কর্তৃপক্ষ তার ভেজাল দুধ গ্রহন করায় সাধারন খামারিরা সঠিক দুধের দাম পাচ্ছেন না। আকিজ কার্তিপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয় নাই। তাদের দাবী আকিজের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী এর সাথে সরাসরি যুক্ত। তারা আরও বলেন স্যনেটারি ইন্সপেক্টর নরুল ইসলাম দুগ্ধ সংগ্রহকেন্দ্র থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মিষ্টি ব্যবসায়ী সংবাদকর্মীদের জানান, এই নুরুল ইসলাম বিভিন্ন মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি খাদ্যদ্রব্য, ঘি, মুদি দোকান থেকে বিভিন্ন দ্রব্যাদি পরিক্ষার নামে বিনা টাকায় নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে এ বিষয়ে কোথাও অভিযোগ করেন না।
এই বিষয়ে কলম বলেন, আমার নিয়ে আসা দুধে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। তখন আকিজ দুধ ফেরত দিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার ভেজাল দুধ প্রদানকারী সনাক্ত হওয়া স্বত্ত্বেও জরিমানা না করার কারন জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম সংবাদ কর্মীদের বলেন, যদি জরিমানা করি তবে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। এত টাকা দেয়ার ক্ষমতা কমলের নেই। কমলের অক্ষমতার কথা আপনি জানলেন কিভাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি চুপ থাকেন। পবরর্তীতে তিনি কমলকে মৌখিক ভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেন। এলাকাবসীর অভিযোগ তিনি অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। এতে এলাকার খামারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি জানার পরে আমি উপজেলা স্যনেটারি ইন্সপেক্টরকে সেখানে পাঠিয়েছিলাম তিনি ভেজাল দুধ ধ্বংস করে অভিযুক্তকে মৌখিক ভাবে সতর্ক করেছেন।