ফরিদপুর (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বেড়হাউলিয়া গ্রামে বাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে ৩ জন মহিলাকে গত শনিবার পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। আহত ২ জনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন বেড়হাউলিয়া গ্রামে আব্দুস সাত্তারের মেয়ে শিউলী (৩৫) ও সীমা (২৫) । প্রত্যক্ষদর্শি ও আহত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী লতা খাতুন বলেন, আমরা বসত ভিটায় দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছি । আমার স্বামীর ভাই আব্দুর রউফ প্রায় ৮ বছর আগে তার অংশের জমি গোপনে বিক্রয় করে চিথুলিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের কাছে। জমিটি বাড়ীর নিচের অংশ।
আলাউদ্দীন ৮ বছর যাবৎ সে জমি দখল করে আছেন। আমরা যার যার অংশ আগে থেকেই ভোগ দখল করছি। হঠাৎ গত ২৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় চিথুলিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন ও আকবর মেম্বরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ী ভাংচুর করতে থাকে। আমার স্বামী এবং মেয়েরা বাধা দিতে গেলে আমাকে ঘরের খুঠির সাথে বেঁধে রেখে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। থানা পুলিশ খবর পেয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে। ঘটনা স্থল থেকে ১ জনকে পুলিশ আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আহত শিউলি ও মীমকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেড়হাউলিয়া গ্রামের ও ফরিদপুর ইউনিয়নের উচ্চ বিদ্যালয়ে হেড মওলানা মোজাম্মেল হক বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে শতাধিক লোকের সামনে মেয়েদের উপর নির্যাতন আইয়েমে জাহেলিয়ার বরবর যুগের মতো ঘটনা । একালাবাসী জানান, এ কান্ড যারা ঘটিয়েছে তারা এলাকার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসি হিসেবে পরিচিত।
টাকা নিয়ে জমি দখল করাই তাদের পেশা। সংঘবদ্ধ এই সন্ত্রাসি দলের সামনে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। অভিযোগ প্রসঙ্গে আকবর মেম্বর বলেন, বিরোধ মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য উপজেলার নেতারা আমার উপর দায়িত্ব দিয়েছিল। আমি মিমাংসা করে দিতে গিয়েছিলাাম। আমি কাউকে মারধর করিনি। আব্দুস সাত্তারের অভিযোগ জমিটি নিয়ে মামলা চলছে এখনও ১৪৪ ধারা জারী আছে। এস আই কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে নির্যাতিত মহিলাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। এব্যাপারে লতা খাতুন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। ওসি তদন্ত জালাল উদ্দীন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।