শফিউল আযম, বেড়া (পাবনা) সংবাদদাতা ঃ
পাবনা জেলা পরিষদের কাশীনাথপুর রেষ্ট হাউসের প্রধান ফটক বন্ধ করে অভ্যন্তরের বেশ কিছু মূল্যবান গাছ কাটা হয়েছে। একই স্থানে এসব গাছ চেরাই করে কাঠ মিস্ত্রি দিয়ে কর্মকর্তাদের ব্যাক্তিগত ফার্নিচার তৈরি করা হচ্ছে । বন বিভাগের অনমুতি ছাড়াই এই গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কাশীনাথপুর রেষ্ট হাউসের কেয়ারটেকার শরিফুল ইসলাম জানান, পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী স্যারের নির্দেশে আমরা গাছ কেটে ফার্নিচার বানানো হচ্ছে। এ জন্য প্রতিদিন ৬ জন কাঠ মিস্ত্রি ও ৭ জন যোগালে কাজ করছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নরেশ মধু বলেছেন, কোন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া গাছ কাঠা উচিৎ না। তা ছাড়া যতদুর জানতে পেরেছি এই গাছগুলো খুবই মুল্যবান। শুধুমাত্র ফার্নিচার বানানোর জন্য এ সব গাছ কাটা অন্যায়। তা ছাড়া করোনার এই সময়ে যে ভাবে গাছ কাটা হচ্ছে তা দু:খজনক। এই সময় আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন বেশী বেশী ‘অক্সিজেন’এর। আর আমরা এই ‘অক্সিজেন পাচ্ছি গাছ থেকে।
পাবনা সামাজিক বন বিভাগের বন সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, পাবনা জেলা পরিষদের কাশীনাথপুর রেষ্ট হাউসের গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগ কিছুই জানেনা। গাছ কাটতে হলে একটি কমিটি করতে হয় এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শে প্রয়োজন হলে গাছ কাটা হয়। এ ক্ষেত্রে সে রকম কিছু করা হয়নি।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, কাশীনাথপুর রেষ্ট হাউসের ফার্নিচার পুরোনো হয়ে গেছে। নতুন কিছু ফার্নিচার তৈরির জন্য কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে। এ জন্য সরকারি সকল নিয়ম-কানুন মানা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাক্তিগত ফার্নিচার বানানোর অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।