ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজের অগ্রগতি না হবার অভিযোগ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্ধ করে দিয়েছে গাইবান্ধার যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ।
এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও ব্যাপক ভাঙনের আশংকায় রয়েছেন সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নতুন কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুনরায় প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
গত বছরের জুনে গাইবান্ধায় মেগা প্রকল্প যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। এরপর থেকেই সদরের বাগুড়িয়া, ফুলছড়ির বালাসীঘাট, গণকবর ও সিংড়িয়া এলাকায় চলছে ব্লক তৈরির কাজ। দুটি উপজেলার এই চারটি পয়েন্টে নদীর লুপকাটিং করে ছয় থেকে আট ফিট গভীর ক্যানেল তৈরি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শেষ করতে হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী আরো এক বছর সময় বাড়ানো যাবে। কিন্তু গত ৯ মাসে কাজের মাত্র দুই শতাংশ শেষ হয়েছে।
এমতাবস্থায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজের অগ্রগতি হয়নি এমন অভিযোগ করে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও ভাঙন আতংকে রয়েছেন নদী তীরবর্তী প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
স্থানীয় একজন জানান, এই দোকান গুলো আছে, এই গুলো থাকবে না। তাই এখানে যদি নদীর কাজ দ্রুত না করা হয়, এই এলাকার মানুষ অনেক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে।
স্থানীয় আরেক জন জানান, ৭-৮ কিলোমিটার দুরে ছিল নদী, সেই নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন শহর পর্যন্ত চলে আইছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এই প্রতিনিধির দাবি, কমপক্ষে ২৮ দিন আগে নোটিশ দেয়ার নিয়ম থাকলেও মাত্র এক সপ্তাহের ঘোষণায় প্রকল্পের কাজটি বন্ধ করা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান বলেন, যেসময় কাজের গতি বেড়েছে, সেই সময় অসৎ উদ্দেশে কাজটি বাতিল করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, বর্তমান বা নতুন কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে পুনরায় প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোকলেসুর রহমান বলেন, এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কিছু অংশ কেটেছে, তো এখন নতুন যেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠার আসুক তারা সেখান থেকেই শুরু করবে।
২শ’ ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর চার হাজার ৫শ’ মিটার এলাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এই মেগা প্রকল্প।