শনিবার মহালয়া দেবীপক্ষ শুরু ৭ দিন পর বোধন

0
356

শফিউল আযম:(২৮ সেপ্টেম্বর) শনিবার শুভ মহালয়া। চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দূর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। চন্ডীতেই আছে কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে দেবী দূর্গার। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ মহালয়া। আজ ভোরে চন্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে আবাহন ঘটবে দেবী দূর্গার। দেবীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে মর্ত্যলোকে। আগামী ৩ অক্টোবর দেবীর বোধন এবং ৪ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শারদীয়া দূর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই পূজারীরা দূর্গা পূজার আগমণ ধ্বনি শুনতে পাবেন। শাস্ত্রীয় বিধান মতে, মহালয়ার অর্থ হচ্ছে, মহান আলোয় দূর্গতি নাশিনী দেবী দূর্গাকে আবাহন। দুটি পক্ষ রয়েছে, একটি পিতৃ পক্ষ, অন্যটি দেবী পক্ষ। অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে সেই দেবী পক্ষ।

ধর্ম মতে এই দিতে দেব-দেবীক‚ল দূর্গা পূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। মহালয়ার দিন ভোরে মন্দিরে মন্দিরে শক্সেখর ধ্বনি ও শ্রী শ্রী চন্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন জানানো হয়। এদিন গঙ্গীতীরে প্রার্থনা করে ভক্তরা মৃত আতœীয়-¯^জন ও পূর্ব পুরুষদের আত্নার মঙ্গল কামনা করেন। তাই মহালয়া দূর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়ার মাধ্যমে।

আজ শনিবার দূর্গা দেবীর আবাহন বা মহালয়া। ৪ অক্টোবর ষষ্ঠীতে দশভ‚জা দেবী দূর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পুরান মতে রাজা সুরথ প্রথম দেবী দূর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি এই পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে অকালে রাম চন্দ্র দূর্গা পূজার আয়োজন করেছিলেন। তাই শরৎকালের এই পূজা রামায়ণে অকালবোধন হিসেবে পরিচিত। শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজনে ব্যস্ত বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে।

সব ধর্ম ও শ্রেণীর বাঙালিদের মধ্যেও। পূজার আনন্দ আমেজ বিরাজ করছে। মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা সাজ-সজ্জার কাজ। দেবী মূর্তী নির্মাণ প্রায় শেষ। গায়ে এখন রং ছোঁয়ানোর অপেক্ষায় দক্ষ ভাস্কর, নিপুণ শিল্পীরা। ৮ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও দর্পণ বিসর্জন শেষে শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে পাঁচ-দিন ব্যাপী শারদীয় দূর্গোৎসবের। এবারে বেড়া উপজেলায় ৫৪টি মন্ডপে শারদীয়া দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দূর্গা পূজা সুষ্ঠভাবে সুসম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here