বেড়া সংবাদদাতা শফিউল আযম:আকাশে শারদীয় মেঘ। চেনা চেনা প্রকৃতি, তাও দৃশ্যপট মনোমুগ্ধকর। ছয় ঋতুর বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুর রয়েছে আলাদা রূপ ও বৈচিত্র্য। আর তাই প্রকৃতির ধারাবাহিকতা শরৎ এসেছে তার অপরূপ নিজস্ব তা নিয়ে। পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনা নদীর চরে বাতাসে শুভ্র কাশফুলের দোল আর আকাশে সূর্যের সঙ্গে সাদা মেঘের শরৎ একই সূত্রে বেঁধে গেছে। ঝক ঝকে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের ভেলা।
অথবা কখনো কালো মেঘের মাঝ থেকে সূর্যের ঝিলিক আর শ্বেত শুভ্র কাশফুলের শোভা সবই যেন শরৎ ঘিরে। আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ। এভাবেই প্রতিবছর ফিরে আসে শরৎ। বাংলার প্রকৃতিকে করে তোলে রূপময়। শুধু যমুনার অববাহিকায় নয়, উত্তরাঞ্চলের সব নদী চরাঞ্চলগুলোতে কাশফুলের ভরা যৌবন। নীল আকাশে সাদা মেঘের সঙ্গে নদী চরে থোকা থোকা শুভ্র কাশফুলের মেলবন্ধন মন কাড়ে প্রকৃতি প্রেমীদের।
দর্শনার্থীরা বলেন, সাদা মেঘের সঙ্গে এই কাশফুলের সাদা রং মনকেও সাদা করে দেয়। প্রকৃতির কাছ থেকে একটু প্রশান্তি। শরৎ আসে শারদীয় সৌন্দর্য নিয়ে আর সেই সৌন্দর্য কাশফুল ছাড়া পূর্ণতা পায়না। এখানকার কাশবনের এই পরিবেশ যে কারও মনকে উদ্বেলিত করে। শেষ বিকেলের আলো আর মৃদু হাওয়ায় দোল খাওয়া সাদা কাশফুল এই দুইয়ের মেল বন্ধনে গোধুলির লাল সূর্য যখন অস্তাচলে তখন প্রকৃতি হয়ে ওঠে আরো মায়াবী।
শরতের প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে শুধু তরুণ প্রজন্মই নয়, পরিবারের বয়ঃবৃদ্ধরাও এক কাতারে নৈস্বর্গিক অপরূপ দৃশ্য দেখতে ঘুরে আসেন কাশবনে। শরৎ জুড়ে অনেকেই কষ্ট স্বীকার করে যায় নদী চড়ে কাশফুল আর শরৎ নীল আকাশের থোকা থোকা পূঞ্জীভ‚ত মেঘের ছবি ক্যামেরায় বন্দী করতে। ঋতুচক্রে স্বপ্ন ও শুভ্রতার প্রতীক হয়ে শরৎ আসে।
জেগে ওঠে গোটা প্রকৃতি। বর্ষার অঝোর ধারার পর শরৎ এর সতেজ মাটিতে গাছপালা খুঁজে পায় ঝলমলে রোদ। পথের দূর্বাঘাসে শিশিরের আলপনা জাগে আমাদের ডেকে যায় শরৎ এর শান্ত প্রকৃতি গাঢ় নীল আকাশ ও শুভ্র প্রাণের কাশফুল। চারদিকে কাশবনের শোভা আর হেলে দুলে নৃত্য দেখে চোখ মুখে সুখের পরশ বুলিয়ে দেয়।