চলমান লকডাউনে প্রায় ২০টি বেসরকারি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠাগুলো দুধ কেনা বন্ধ রেখেছে পাবনা-সিরাজগঞ্জের খামারিদের দিন লোকসান এক কোটি টাকা

0
251

শফিউল আযম, পাবনা থেকে সংবাদদাতা ঃ
চলমান কঠোর লকডাউন ও বিপনণ অসুবিধার কারণে প্রায় ২০ বেসরকারি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ বন্ধ রেখেছে। এতে পাবনা-সিরাজগঞ্জের সম্ভাবনাময় দুগ্ধ শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। বেসরকারি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠাগুলো দুধ না কেনায় এ অঞ্চলের খামারিদের প্রতিদিন প্রায় এক কোটি লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। অব্যাহত লোকসানের কারণে ছোট ছোট খামারিসহ অনেক মাঝারি খামারি দুধেল গাভী বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকেই পেশা বদল করে অন্য পেশায় চলে গেছেন।
পাবনায় হঠাৎ করইে বড়েছেে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণ বাড়লওে পাবনা জনোরলে হাসপাতালে সন্ট্রোল অক্সজিনেরে ব্যবস্থা না থাকায় দশিহোরা হয়ে পড়ছেনে রোগী ও তাদরে স্বজনরা। প্রতদিনিই করোনা ইউনটিে ৩ থকেে ৫ জন রোগী মারা যাচ্ছনে অক্সজিনেরে অভাব।ে
সোমবার (০৫ জুন) দুপুরে সরজেমনিে দখো গছে,ে পাবনা জনোরলে হাসপাতাল চত্বরে গাদাগাদি করে মানুষ ঘোরাঘুরি করছনে। অনকেরে মুখে মাস্ক নইে। করোনা ইউনটিওে সাধারণ মানুষ ঘুরে বড়োচ্ছ।ে করোনা ইউনটিরে প্রবশে পথে কোনো হ্যান্ড স্যানটিাইজার রাখা হয়ন।ি অনকেে ছয় ঘণ্টায়ও ডাক্তার দখোতে পারনেন।ি হাসপাতাল র্কতৃপক্ষরে কাছে ১০ বার ধরনা দয়িওে একটি অক্সজিনে সলিন্ডিার যোগাড় করতে পারনেনি কউে কউে। জনবল সংকটে চকিৎিসসবো দতিে হমিশমি খতেে হচ্ছে চকিৎিসকদরেও।
হাসপাতালে কথা হয় সদর উপজলোর চরতারাপুর ইউনয়িনরে মো. আলমগীর হোসাইনরে সঙ্গ।ে তার মা রাশদিা বগেম করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গছেনে। আলমগীর বলনে, রোববার (০৪ জুলাই) দুপুরে ঠান্ডা, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নয়িে আম্মাকে এই হাসপাতালরে করোনা ইউনটিে র্ভতি করছেলিাম। শুরু থকেইে অক্সজিনেরে ঘাটতি ছলি। বষিয়টি র্কতৃপক্ষকে জানয়িছে।ি ১০ বার বলার পরও তারা আমার মায়রে জন্য একটি অক্সজিনে সলিন্ডিার দয়েন।ি অথচ করোনা ইউনটিে একটি সলিন্ডিার রজর্িাভ ছলি।
তনিি বলনে, অনকে আকুতি করার পরও তারা সলিন্ডিার দয়েন।ি অক্সজিনে না পাওয়ায় চোখরে সামনে মায়রে মৃত্যু দখেতে হলো। এটা কোনোভাবইে মনেে নতিে পারছি না। কবেল আমার মা নন, এ সময় হাসপাতালরে প্রতটিি রোগী প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছলিনে। অক্সজিনেরে অভাবে আমার সামনে তনিজন রোগীর মৃত্যু হয়ছে।ে
তনিি আফসোস করে বলনে, অনকে আশা নয়িে মাকে হাসপাতালে এনছেলিাম। এখানে ন্যূনতম কোনো চকিৎিসা ব্যবস্থা নইে। র্নাসরা ঠকিমত ডউিটতিে আসছনে না।
করোনা ওর্য়াডে চকিৎিসাধীন আরকে রোগীর ভাই মামুন হোসনে বলনে, এই হাসপাতালে চকিৎিসা ব্যবস্থা নইে বললইে চল।ে অনকে ভালো রোগীকে করোনা ইউনটিে র্ভতি করে রখেছে।ে আমার বোনকে ১২ দনি আগে হাসপাতালে র্ভতি করছে।ি পরদনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দলিওে এখনো ফলাফল পাইন।ি
তনিি আরও বলনে, শহররে বভিন্নি ডায়াগনস্টকি সন্টোর থকেে ঠান্ডা ও জ্বররে রোগীদরে জনোরলে হাসপাতালরে করোনা ইউনটিে নয়িে র্ভতি করাচ্ছে একটি দালাল চক্র। যার কারণে সাধারণ করোনা রোগীরা চকিৎিসা পাচ্ছনে না।
করোনা আক্রান্ত রোগীর স্বজন সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল হামদি জানান, ‘রোগী র্ভতরি পর হাসপাতালরে ডাক্তাররাই বলছনে, এখানে অক্সজিনে নইে। রোগীর চকিৎিসা করাতে চাইলে বাইরে থকেে অক্সজিনে সলিন্ডিার কনিে আনুন, না হলে রোগীকে রাজশাহী বা ঢাকায় ননি।’
অক্সজিনে সংকটে চকিৎিসাসবো চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করনে তারা।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রমিা খাতুনরে স্বামী শাহীন আলম বলনে, করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে নয়িে হাসপাতালে এসছেলিাম। হাসপাতালে আনার ৪ ঘণ্টা পরও কোনো ডাক্তার আসনেন।ি শষেে কোনো চকিৎিসা ছাড়াই আমার স্ত্রী মারা গলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ বড়েে যাওয়ায় গত বছররে মাঝামাঝি সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবলি থকেে একটি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা অক্সজিনে দওেয়া হয় হাসপাতাল র্কতৃপক্ষক।ে তবে সন্ট্রোল অক্সজিনে প্ল্যান্ট না হওয়ায় সটেি কোনো কাজে আসনে।ি র্বতমানে ২০৬টি ছোট বড় অক্সজিনে সলিন্ডিার থাকলওে ৯১টি অকজেো। ১১৫টি দয়িে কোনো মতে চকিৎিসা চালু রখেছেে র্কতৃপক্ষ। ঠকিাদাররে গাফলিততিে সন্ট্রোল অক্সজিনে প্ল্যান্ট নর্মিাণ কাজ শষে হয়ন।ি
পাবনা জনোরলে হাসপাতালরে করোনা ইউনটিে দায়ত্বিে থাকা একাধকি চকিৎিসক নাম প্রকাশ না করার র্শতে বলনে, রোববার সকাল থকেে এখন র্পযন্ত মোট চারজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়ছে।ে হাসপাতালে অক্সজিনেরে ঘাটতি থাকায় ঠকিমত অক্সজিনে সরবরাহ করতে না পারায় তনি রোগীর মৃত্যু হয়। পরর্বতীতে আরও একজনরে মৃত্যু হয়। এখানে করোনা রোগীদরে জন্য অক্সজিনে ব্যবস্থা থাকা দরকার। হাসপাতালরে সনিয়িররা ঠকিমতো এ ওর্য়াড দখেভাল করনে না। এমনকি নয়িমতি চকিৎিসাসবো দওেয়ার জন্য আমাদরেকে উৎসাহও দয়ে না র্কতৃপক্ষ।
২৫০ শয্যা বশিষ্টি পাবনা জনোরলে হাসপাতালরে ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরচিালক ডা. সালহে মোহাম্মদ আলী বলনে, সন্ট্রোল অক্সজিনে প্ল্যান্ট নর্মিাণে ধীরগতরি কারণে এখনো সটেি চালু করা যায়ন।ি অক্সজিনে সলিন্ডিার দয়িে কাজ চালাতে হচ্ছ।ে তবে করোনা রোগীর জন্য অক্সজিনেরে সংকট আছ।ে সে কারণে প্রাথমকিভাবে আমরা ‘মনিি ফল্ট’ ব্যবস্থা দয়িে অক্সজিনে সরবরাহরে ব্যবস্থা করব। যখোনে বড় সলিন্ডিার থকেে অক্সজিনে সরবরাহ করা হবে রোগীদরে। আজ থকেে অস্থায়ী হাইফ্লো অক্সজিনে চালু হয়ছেে বলে জানান তনি।ি
পাবনার সভিলি র্সাজন ডা. মনসির চৌধুরী জানান, সীমান্তর্বতী জলোগুলো থকেে করোনা সংক্রমণ ছড়য়িে পড়ছে।ে পাবনা জলোয়ও এ কারণইে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছ।ে সইে সঙ্গে মানুষ সচতেন না হওয়াটাও একটা বড় কারণ। বারবার বলার পরও মানুষ সচতেন হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবধিি মানার ক্ষত্রেে সবাই উদাসীন।
সভিলি র্সাজন বলনে, এই মুর্হূতে আমাদরে খুব বশেি দরকার পাবনা জনোরলে হাসপাতালে কন্দ্রেীয় অক্সজিনে সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা। কন্তিু সটেি দ্রুত চালুর কোনো সম্ভাবনা দখেছি না। শুধু সলিন্ডিার দয়িে সরিয়িাস করোনা রোগীদরে প্রয়োজনীয় অক্সজিনে সরবরাহ করা সম্ভব নয়। জনোরলে হাসপাতালে যে অক্সজিনে সলিন্ডিার রয়ছেে তা দয়িে করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে যাদরে শ্বাসকষ্ট কম কবেল তাদরে চকিৎিসা দওেয়া সম্ভব।
পসিআির ল্যাবরে বষিয়ে জানতে চাইলে তনিি বলনে, পসিআির ল্যাবরে অনুমোদন হয়ছে।ে আশা করি অল্প কছিু দনিরে মধ্যইে তা স্থাপন করা হব।ে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here