চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষকের ঘর ভাঙ্গার অভিযোগ

0
446

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভেড়ামারা গ্রামে এক শিক্ষকের ঘর ও বায়োগ্যাস প্লাান্ট ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পার-ভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। হেদায়েতুল হক স্থানীয় আ.লীগ নেতা ও ভেড়ামারা উদয়ন একাডেমীর (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) প্রধান শিক্ষক। ভেঙ্গে দেয়া ঘরের মালিক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী উপজেলার দিয়ারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক।
এলাকাবাসী ও আব্দুল হাইয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভেড়ামারা পূর্বপাড়া গ্রামের অবস্থিত মসজিদের পাশের রাস্তার সাথেই তার বাড়ি। তার গরুর জন্য নির্মিত ঘরের খানিক অংশ (আড়াই ফিট) জায়গা সড়কের জায়গা জুড়ে রয়েছে। সম্প্রতি ঐ সড়ক সাবমারসিবল সড়কে রুপান্তর করা হয় এবং পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হলেও ঐ আড়াই ফিট জায়গা ড্রেনের পাশে পরিত্যাক্ত থেকে যায়। নিজ বাড়ির সামনে হওয়ার ফলে আব্দুল হাই ঐ জায়গা সহ ঘর নির্মান করে। তার বায়োগ্যাস প্লাান্টের খানিক অংশ ও ঐ জায়গার ভেতরে ছিল। সম্প্রতি এই সড়কের পাশে অবস্থিত মসজিদের ইসলামি জালসায় জায়গা হয় না এমন অভিযোগ তুলে এলাকার কিছু প্রভাবশালী। এই বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে কয়েকদফা মিটিংও হয়। মিটিংয়ের সিদ্ধান্তনুযায়ি আব্দুল হাইকে ঘর সরিয়ে নিতে ১মাসের সময় দেন চেয়ারম্যান সহ মিটিংকারীরা। সেই অনুযায়ী আব্দুল হাই নিজের মেঝে পাকা ঘরের খানিক অংশ নিজেই ভেঙ্গে সরিয়ে নিয়ে নিজের জায়গায় ঘরের ফ্রেম দাঁড় করান। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে যাওয়ায় মবু সরকার, বাবর, আব্দুলাহ, রিপন, নজরুল সহ কিছু লোক রবিবার রাতে হাতুরী শাবল নিয়ে তার নির্মাণাধীন ঘর ও বায়ো গ্যাসের প্লাান্ট ভেঙ্গে দেয়। পরে আব্দুল হাই থানায় খবর দিলে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ সেখানে এসে ময়নুল ও বাবর নামে দুই জনকে আটক করে। আটক ময়নুল ও বাবর চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হকের নির্দেশনায় ঘর ভেঙ্গেছেন বলে জানায় পুলিশের কাছে। এমনটাই দাবী ঘর মালিক আব্দুল হাইয়ের। পরে ইউপি চেয়ারম্যান তাদেরকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে উপস্থিত ভাঙ্গুড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা জানান, আমি রাতে সেখানে গিয়ে দুইজনকে আটক করছিলাম। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হকে কথায় ছেড়ে দেই এবং অভিযোগকারী আব্দুল হাইকে আইনি সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেই।
আব্দুল হাই সিদ্দীকি বলেন, আমার ঘর একটু রাস্তার ভেতরে ছিল তবে সেটুকু পরিত্যক্ত জায়গা। তবুও আমি চেয়ারম্যানের নির্দেশে সেটুকু সরিয়ে নিয়েছিলাম তবু তারা আমার ঘর ও বায়োগ্যাস প্লাান্ট ভেঙ্গে দিয়েছে। পুলিশকে জানানোয় ওরা আমাকে এখন মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে। চেয়ারম্যান থানায় অভিযোগও দিতে নিষেধ করায় থানায়ও জানাতে পারছি না।
পার-ভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক বলেন, আব্দুল হাইয়ের আমি ঘর ভেঙ্গে দেয়ার মত কোন নির্দেশনা দেই নাই। উত্তজিত জনগণ এটা করেছে। তবে এই কাজটা তারা ঠিক করে নাই।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমারা জানা নেই। তবে চেয়ারম্যান যদি গ্রাম আদালত থেকে এমন কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে সেটা ঠিক আছে। তবুও আমি বিষয়টি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here