তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক শিমুল তালুকদারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

0
510

লিপন সরকার চলনবিল প্রতিনিধি:
৫০ শয্যা বিশিষ্ট সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালেরর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শিমুল তালুকদারের নান অনিয়ম, অফিস ফাকি দিয়ে চেম্বারের বসে রোগী দেখাসহ দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিণে গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসক শিমুল তালুকদার যমুনা প্যাথলজী এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বসে রোগী দেখছেন। ডা. শিমুল তালুকদার দীর্ঘদিন ধরে এ হাসপাতালে থাকায় ও স্থানীয়দের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠায় হাসপাতালের গেটে অবস্থিত চেম্বারে বসে রোগী দেখে সময় পার করেন। সামান্য কেটে গেলেও নামমাত্র সেলাই দিয়ে অবস্থা খারাপ বলে পাঠিয়ে দেন জেলা সদর বা বগুড়া-রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাছাড়া হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগ ও এক্সরে-মেশিন নষ্ট বলে রোগীকে তার চেম্বার যমুনা প্যাথলজী এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী।
তাড়াশ হাসপাতালেরর বহি:বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসার ভাদাস গ্রামের রোগী আছিয়া বেগম বলেন, চিকিৎসক শিমুল তালুকদারকে হাসপাতালে খুজে পাওয়া মুশকিল। তাকে বাহিরে প্যাথলজীতে গেলে সব সময় পাওয়া যায়। কিন্ত আমরা গরীব মানুষ তাই হাসপাতালে বিনামুল্যে চিকিৎসার জন্য আসি। সেখানেতো অনেক টাকার প্রয়োজন হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল দশটায় গিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জরুরী বিভাগে ও বর্হিঃবিভাগে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে দেখা গেলেও আবাসিক চিকিৎসক শিমুল তালুকদার কে পাওয়া গেলনা।
খোজ জানা যায়, চিকিৎসক শিমুল তালুকদার রয়েছেন হাসপাতাল গেটে অবস্থিত যমুনা প্যাথলজি এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চেম্বারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চিকিৎসক জানান, শিমুল তালুকদার এক মুহুর্তও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে না। আর তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে ডেলিভারী এনসি/পিএনসি মায়েদের থেকে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া বেশি নিয়ে সে টাকা ভাগ করে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার খুটিগাছা আতাউর রহমান জানান, তার ছোটভাইয়ের স্ত্রীর ডেলিভারীর জন্য সিরাজগঞ্জ সদরের এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ২ হাজার ৫শত টাকা নেয়া হয়েছিল। অথচ সরকারীভাবে এর ভাড়া অনেক কম।
অভিযোগ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শিমুল তালুকদারের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেযা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here