দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অবস্থান

0
355

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অচেনা রূপে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কখন যে কী নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন তা আগে থেকে বুঝা মুশকিল। দলের কাছে যে শেখ হাসিনা সবার কাছে খুব বেশি পরিচিত ছিল এখন সেই শেখ হাসিনা তার খুব কাছের মানুষদের সামনে অপরিচিত হয়ে উঠছেন। আগে যেখানে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানতো প্রধানমন্ত্রী পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন তার ঘনিষ্ঠজনরাও জানে না তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদের মতো মাদক, দুর্নীতি দেশ থেকে পুরোপুরি রূপে রুখতে প্রধানমন্ত্রীর এই শুদ্ধি অভিযান যেমনি দলীয় কিংবা নির্দলীয় অপরাধীদের ভাবাচ্ছে তেমনি দেশবাসীকে দিচ্ছে স্বস্তির বার্তা।

সম্প্রতি মাদক, চাঁদাবাজির অভিযোগে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদককে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত এর মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীকে অচেনা রূপে দেখতে শুরু করেছে দেশের মানুষ। এদের সরিয়ে দেওয়ার আগেও মানুষ বুঝতে পারেনি প্রধানমন্ত্রী জনগণের স্বার্থে এমন একটি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধেই অভিযান চালাবেন প্রধানমন্ত্রী- এমনটাই আভাস পাওয়া গিয়েছে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী এখন ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন যুবলীগের বিরুদ্ধে। মূলত দল থেকে দুর্নীতিবাজরাই নয়, সারাদেশ থেকে দুর্নীতিকে বিতাড়িত করতে প্রধানমন্ত্রী এই ধরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এই পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যেমন পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও এই নজরদাড়ির আওতায় আনা হচ্ছে। এমনকি দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে যারা কাজ করে থাকে স্বয়ং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে দুর্নীতিবাজ হঠানো হচ্ছে। দুর্নীতির ‍বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার অংশ হিসেবেই এই ধরণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ইতোমধ্যে এই শুদ্ধি অভিযান জনগণের মধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। দুর্নীতিবিরোধী এই ধরণের কাজ প্রশংসা পাচ্ছে পুরো দেশবাসীর কাছ থেকে।প্রশংসিত হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কাছেও। প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণ করতে হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকলকে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। দুর্নীতিবাজ যেই হোকনা কেন তাকে বিন্দু পরিমানও ছাড় দেয়া হবেনা বলেও তিনি যে দৃঢ় মনোভাব দেখিয়েছেন তাতে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর প্রতি দেশবাসীর নির্ভরতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here