পাবনায় স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের কর্মসুচি বয়কট সাংবাদিকদের : সিভিল সার্জন কে প্রত্যাহারের দাবী

0
273

শফিউল আযম, বেড়া (পাবনা) সংবাদদাতা ঃ
পাবনায় স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সকল কর্মসুচি বয়কট করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা। এ ছাড়া পাবনার মানসিক ভারসাম্যহীন সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবালকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবী করেছেন সাংবাদিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সকল কর্মসুচি বয়কট করার ঘোষণা দেন এবং পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবালকে প্রত্যাহারের দাবী করেন।
সুত্র জানায়, স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গতকাল বৃহস্পতিবার পাবনার সিভিল সার্জন অফিস, পাবনা মেডিকেল কলেজ, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, পাবনা টিবি ক্লিনিক ও ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। এ উপলক্ষে প্রথমেই সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সুধীজনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডিজি। এ সভায় সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সভা চলাকালে পাবনার সিভিল সার্জন ডিজির উপস্থিতিতে আকষ্মিকভাবে সাংবাদিক এবং ক্যামেরা পারসনদের সভা কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে পড়েন।
সভায় উপস্থিত পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ডেকে নিয়ে সভা থেকে বের করে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, ১৭ জেলার পুরোনো জেলা পাবনা। সিভিল সার্জনের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতায় এই জেলায় এখন পর্যন্ত পিসিআর ল্যাব বা কোভিড টেষ্টের কোন ব্যবস্থা হয়নি। জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন চিকিৎসা নেই। এ ছাড়া নানা ধরণের অনিয়ম ও দুনীর্তিতে ডুবে গেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তা ছাড়া নিজেদের অনিয়ম দুনীতি ঢাকতে সাংবাদিকদের সভা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি বলেন।
সভায় উপস্থিত একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, এ ধরনের অসভ্যতা গোটা সাংবাদিক সমাজের অপমান। কানে কানে বললেও সাংবাদিকদের সম্মান বাঁচতো। এত রূঢ় ভাষায় সকল অফিসারের সামনে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়া খুবই অপমানকর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, এই সিভিল সার্জন মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে আগে মানসিক পরীক্ষা করা জরুরী। ডিজির সামনে এ ধরণের ঘটনা কোনমতেই কাম্য নয়। আমরা এ জন্য নিজেরা লজ্জিত।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমেকে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি পাল্টা দিয়ে ম্যাসেজের মাধ্যমে কথা জানাতে বলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here