ভাঙ্গুড়ায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালনে অবহেলা

0
465

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০১৯’ পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ (বিএনএনসি) কর্তৃক নির্ধারিত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করেনি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হালিমা খানমের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এসব কর্মসূচি পালিত হয়নি বলে অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। এমনকি জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালনে সরকার নির্দেশিত উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি পর্যন্ত গঠন করা হয়নি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুদুর রহমান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি অবগত করেছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরকে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সাতদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ। কর্মসূচিসমূহ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে ২২ সদস্যের উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি গঠন করতে বলা হয় ওই প্রজ্ঞাপনে। কর্মসূচির প্রথম দিনে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, দ্বিতীয় দিনে শিশু ও মাতৃ পুষ্টি, তৃতীয় দিনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চতুর্থ দিনে পুষ্টি মেলা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনার, পঞ্চম দিনে নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড, ৬ষ্ট দিনে বয়স্কদের পুষ্টি ও সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান পালনের নির্দেশনা ছিল। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হালিমা খানমের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এসব কর্মসূচি এই উপজেলায় যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়নি। এমনকি এসব কর্মসূচি পালন না করেও সরকারি বরাদ্দের অর্থ গোপনে উত্তোলনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের প্রধান হিসাব রক্ষক শামছুল আলমের বিরুদ্ধে। তবে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাধায় পÐ হয়ে যায়।

অর্থ উত্তোলন চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে প্রধান হিসাব রক্ষক শামছুল আলম বলেন, সরকার নির্ধারিত কর্মসূচি যেটুকু পালন করা হয়েছে সেটুকুর ব্যয় তোলা হবে। বাকি অর্থ ফেরত দেয়া হবে।

এদিকে দায়িত্ব অবহেলার ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হালিমা খানম বলেন, ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের কর্মসূচি পালন না করা আমার কাছে এতো বড় কোনো বিষয় নয়। কয়েকদিন আগে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ পালন করে আমরা সকলেই ক্লান্ত ছিলাম। তাই পুষ্টি সপ্তাহের অন্যান্য কর্মসূচি পালন না করলেও সমাপনী অনুষ্ঠান করেছি। এখন বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাইন্ড করলে তার সাথে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুদুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হালিমা খানম জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন না করে স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here