ভাঙ্গুড়া(পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের রাস্তার মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ উদাসীন। যে কোনো মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। তবে এই অনাকাঙ্খিত দুর্ঘনার হাত থেকে উত্তরণে দৃর্শতঃ কোনো পদক্ষেপের আশ্বাস দিতে পারে নি ভাঙ্গুড়া বিদ্যুৎ অফিসের উচ্চ কর্মকর্তা । ফলে উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন, ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের ভাঙ্গুড়া-উত্তর সারুটিয়া রাস্তার থানা গেট এলাকায়, ভাঙ্গুড়া- অষ্টমনিষা রাস্তার কলেজ মোড় এলাকায় ,ভাঙ্গুড়া- সর্দার পাড়া রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে ওই সকল রাস্তায় ১০ থেকে ১২ টি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। যে সকল পথ দিয়ে পথচারী কিংবা বিভিন্ন যান বাহন ব্যবহার করে চলাচল করছে। বিশেষ করে মোটসাইকেল আরোহীরা চলাচল করেছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। যে কোনো সময় বড় ধনরের দুর্ঘনা ঘটে যেতে পারে। তবে যে কোনো মর্হুতে দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থাকলেও এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের নেই কোনো মাথা ব্যথ্যা। বরং স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা এবিষয়ে দোষারোপ করছেন পৌর সভাকে।
রাস্তায় পল্লী বিদ্যুতে খুঁটি রয়েছে তা পথচারী কিংবা যান বাহনের চলা চলে ঝুঁকি এড়াতে সড়ানো হবে কিনা এমন পশ্নের উত্তরে ভাঙ্গুড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার শয়ম কৃষ্ণ রায় বলেন, এ উপজেলার পৌর সদরের রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটিগুলি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি গুলো সড়ানো দরকার কিন্তু এর জন্য আমাদের কোনো বরাদ্ধ নেই। এব্যাপারে পৌরসভার নিকট হতে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি গুলো সড়ানোর বিষয়ে একটি লিখিত চিঠি পেয়ে তা বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং তাদের নির্দেশে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার একটি হিসাব পৌরসভাকে পাঠানো হয়েছে।
অপর দিকে পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সড়ানোর বিষয়ে মহামান্য হাইকোটের নির্দেশনা থাকলে তারা তা কর্ণপাত করছে না। বরং পৌরসভার নিকট রাস্তায় খুঁটি সড়ানো জন্য প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার একটি বিল পাঠিয়েছেন যা আমার পৌর সভার পক্ষে ওই খরচ দেওয়া অসম্ভম।
এবিষয়ে আটোভ্যান চালক জব্বার বলেন, রাস্তায় বিদ্যুতের খুটি গুলি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। বিশেষ করে রাতে গাড়ি চালাতে বেশ ভয় লাগে কখন যে, দুর্ঘনা ঘটে যায় তা বলা যায় না।