ভাঙ্গুড়া(পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্বামীর ঘর সংসার করাতে বাধ্য করায় মাহফুজা খাতুন(২৬) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গজারমারা গ্রামে আমবাগানের মধ্যে আম গাছের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটায়। ঐ গৃহবধূ একই গ্রামের আব্দুল গণি দফাদারের মেয়ে ও কিরণের স্ত্রী। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে স্বামীর সংসার করতে বাধ্য করায় ঐ গৃহবধূ আত্মহতা করেছে এলাকবাসীর এমন অভিযোগ থাকলেও পরিবারের লোকজন তা মানতে নারাজ ।
ঘটনার বিষয়ে জানতো চাইলে নিহত গৃহবধূর চাচা জানান , প্রায় ৮ বছর পূর্বে পাশের চাটমোহর উপজেলার কাঠেঙ্গা এলাকার কিরণ নামের এক ব্যাক্তির সাথে পারিবারিক ভাবে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের কিছুদিন পর হতে কিরণ তার শ্বশুর বাড়ি গজারমারাতেই বসবাস করতে থাকে। এরপর তাদের গৃহে একটি পুত্র সন্তান আসে। এর কিছুদিন পর কিরণ প্রায় ৫বছর প্রবাস জীবনযাপন শেষে দেশে আসে এবছরের মার্চ মাসের ৮ তারিখে। কিন্তু এ মাসের বারো তারিখের শুক্রবারে তাদের ছেলের সূন্নতে খাৎনা অনুষ্ঠান ছিল ওই অনুষ্ঠানের বিষয় নিয়ে তাদের স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে কাথা কাটাকাটির একটা বিষয় ছিল। সে কারণে মাহফুজার মৃত্যু হতে পারে।
এবিষয়ে নিহতের স্বামী কিরণ বলেন, ছেলের সূন্নতে খাৎনা অনুষ্ঠানের বিষয় নিয়ে রাতে তার স্ত্রীর সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল । কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে তাকে ঘরে না পেয়ে সবাই মিলে খোঁজাখুজির পর পাশের বাগানে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কিন্তু এঘটনা সর্ম্পতে মন্ডতোষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, নিহত গৃহবধূ বিদেশ থেকে আগত স্বাশীর সংসার করতে রাজি ছিল না। কিন্তু তার মা-বাবা জোর করে তার স্বামীর সংসার করাতে বাধ্য করেছে এবং একই ঘরে রাত্রি যাপন করার পরই সে ভোর রাতে পাশের আমবাগানে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. মাসুদ রানা বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।